বাংলা কালচার ডট কম :
শেষ হলো শনিবার থেকে শুরু হওয়া টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমা। লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহন করেন এতে । তুরাগ তীরের প্রায় ১৬০ একরের ইজতেমা ময়দান ছাড়িয়ে আশেপাশের আরো কয়েক কিলোমমিটার এলাকায় জমায়েত হয় লাখো মুসল্লী । মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা যোবায়রুল হাসান । মুসলিম উম্মার পাশাপাশি সারা বিশ্বের সুখ শান্তি ও উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়।
ইজতেমা ময়দানে নারীদের বসার ব্যবস্থা না থাকায় আশেপাশের সড়ক, বাড়িঘরের ছাদে অবস্থান নিয়ে মোনাজাতে অংশগ্রহন করেন। কেউ কেউ মুঠোফোনে নিকট জনদেও মোনাজাতের বয়ান শোনান। রাস্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টিও চেয়ারম্যান হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদশহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।
মোনাজাত শেষে ভোগান্তি পোহাতে হয় মুল্লীদের। লাখ লাখ মুসল্লী যখন বের হয়ে আসে রাস্তায় তখন সৃষ্টি হয় বিশাল যানজটের । বাস , ট্রেনের পাশাপাশি রিক্সা ও ভ্যানগাড়িতে উঠে রওনা হয় যার যার গন্তব্যস্থলে। কেউ কেউ আবার কোর উপায় না দেখে শুরু করেন পায়ে হাঁটা।
ইজতেমা উপলে গাজীপুরের সকল শিাপ্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ছুটি ঘোষণা করা হয়। সকাল থেকে গাজীপুরের সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইজতেমা ময়দানে আসা সাত মুসল্লীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- কক্সবাজারের নাজিম উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের আবুল হোসেন, নারায়নগঞ্জের শহীদুল্লাহ, নোয়াখালীর হেলাল উদ্দিন, শাহিদা বেগম ও জোবেদা বেগম। তবে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।